লন্ডন ক্লিনিক থেকে তারেক রহমানের বাসায় যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
- By Jamini Roy --
- 24 January, 2025
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছুটি পেয়েছেন। প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টায় তাকে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় নেয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
গত ৮ জানুয়ারি থেকে বেগম জিয়া লন্ডনের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সেখানে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসার এই সময়কালে লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করেন।
ডা. মোহাম্মদ আল মামুন জানিয়েছেন, চিকিৎসার মাধ্যমে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নত হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছুটি দিয়েছে এবং এখন থেকে তিনি তারেক রহমানের বাসায় বিশ্রাম নেবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের সাম্প্রতিক বছরগুলো ছিল চ্যালেঞ্জপূর্ণ। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান তিনি। প্রায় দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয়।
মুক্তি শর্তাধীন থাকায় প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন। সেই আদেশের ফলে তিনি মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পান।
বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় কিছুদিন বিশ্রামে থাকবেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি যেন পরবর্তী কিছু সময় পুরোপুরি বিশ্রামে থাকেন। তার সুস্থতার বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা আশাবাদী।
বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য বেগম জিয়ার সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় নেতারা মনে করেন, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে এলে দলের নেতৃত্বে আরও দৃঢ়তা আসবে। একইসঙ্গে তার লন্ডন সফর দলীয় কৌশল নির্ধারণে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই চিকিৎসা এবং তারেক রহমানের সঙ্গে অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। দলীয় নেতারা আশাবাদী, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হবেন।